আজকাল,প্রকাশনী, কলকাতা। প্রথম প্রকাশ, বই মেলা ১৯৯
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কেই সামনে রেখেছেন। লিখেন ,
বাংলা আকাদেমিকে ধন্যবাদ জানিয়েই বলি, ভারতীয় লেখকরা বলেছিলেন, আখতারের সঙ্গে ওই সন্ধ্যাটি কাটানো, ওঁদের বাংলাদেশ সফরে সবচেয়ে দামি অভিজ্ঞতা। বিবেক আরেকবার, আনন্দ আরও দু'বার যান। আমি তো প্রত্যহ গেছি।
এ লেখা যাঁরা পড়ছেন, তাঁরা তো ইলিয়াসকে অনেকেই চেনেন, ভালবাসেন, তাঁর বই পড়েন। আমি তো অনেককাল মনের মতো একটা গোটা মানুষ দেখি না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, পরবর্তীকালে সামরিক ও আধা-সামরিক শাসনের প্রত্যাবর্তন, মৌলবাদ সংক্রমণ, তার মধ্যে এই যে ইতিবাচক সংগ্রামী মানস মানুষদের যুদ্ধ করে চলা, এই নিরন্তর যুদ্ধমানতার প্রতীকী মানুষ আখতার।
ডান পা না থাকার ভীষণ সুবিধা, সে যেখানে ডান পা রাখত, সেই শূন্যস্থানে চায়ের কাপ রাখা যায়। ডানহাতের ফ্র্যাকচার? দেখুন আমি বামপন্থী হতে এখন বাইধ্য।
বাইধ্য শব্দটাকে কী আদর করেছেন লেখক।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে এমন মন্তব্য মহাশ্বেতা দেবী করতে পারেন।
বাবার কর্মসৃত্রে রাজশাহীতে থেকেছেন বেশি। তাই আপ্লুত হয়ে লিখেন -
রাজশাহিতে যে আবার যাব, সে তো কখনও ভাবিনি। জন্মালাম ঢাকায়, থেকেছিও সেখানে, কিন্তু বড় হয়ে থেকেছি রাজশাহিতে বেশি। ম্যাট্রিকও দিই ওখান থেকে। ১৯৪২ সালে বোমাতঙ্কে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্র বদল করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের কত না জায়গা বাবার কারণে ঘুরেছি, সরকারি কাজ মানেই জায়গা বদল। ময়মনসিং, ঢাকা, ফরিদপুর, রংপুর, দিনাজপুর, বাবাও বদলি হয়েছে। রাজশাহিতে ঠাকুরদা একটি বাড়ি কিনেছিলেন, সেখানে থাকতেন।
আমার মন এত চলমান ও বৈরাগী, যে স্মৃতির ভারে মন পিছনে হাঁটবে তা ভাবিনি আগে। কিন্তু মন হাঁটল।
আজ বিদেশ হলে কী হবে! এ যে জন্ম মাটি।
কাতর হয়ে লিখেন, হাজার চুরাশির মা উপন্যাসের লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী-
বুঝতে পারলাম,বাংলাদেশে আবার যেতে হবে। সম্ভব হলে বারবার।
সময় পাব আমার জীবন, একটু সময় দেবে?
কালদেব মহাশ্বেতা দেবীকে সময় দিয়েছিল দুই হাজার ষোল সাল পর্যন্ত।
বুক রিভিউ : পার্থ প্রতিম নাথ
আরও পড়ুুন : কুতুব