মিলির জন্য যে রোবট টা কেনা হল তার নাম হাইনি। সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন। জিনজিরার অশোক এন্ড অশোকা কোং কোম্পানির তৈরি হাইনির ভেতরে পুশ করা হয়েছে এক্স থ্রি হায়েনার বুদ্ধি। কণ্ঠ দেয়া হয়েছে এক বিচিত্র সুন্দরী নায়িকার। আর শ্রবনেন্দ্রিয় দেয়া হয়েছে একটা ভেজা বেড়ালের। নাক দেয়া হয়েছে হাকানি সাপের। সাপের নাক নেই অর্থাৎ জিহ্বাই তার নাকের চেয়ে ভয়ানক। আর সবশেষে হৃদয়টি দেয়া হয়েছে শেয়ালের।অশোক এন্ড অশোকা কোম্পানির কর্ণধার অশোক আষাঢ়িয়া যখন মিলির বাবা সুভাষ গড়গড়িয়াকে হাইনির বর্ণনা করছিলেন, বলছিলেন আপনি যখন আমাদের কাছে এসেছেন আপনাকে আমরা হতাশ করব না। আমরা আপনাদের প্রয়োজন বুঝি। কাস্টমারের কথা চিন্তা করেই আমরা প্রোডাক্ট বানাই। আমাদের কোম্পানির নিজস্ব একটা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক রয়েছে। এই ট্যাঙ্কে আপনি সব ধরনের লোক পাবেন । চোর বাটপার থেকে শুরু করে হিমালয়ের নাগা সন্ন্যাসী পর্যন্ত। ফোক থেকে আধুনিক শিল্পী শিক্ষক, কবিরাজ, সাপুড়ে, ওঝা ,ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার,হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার সব ধরনের ভার্সন সব আমরা সংগ্রহে রেখেছি। বলা তো যায় না কখন কি কাজে লাগে। আপনি যখন আমাদের ওর্ডার বুক করলেন, আমরা আপনার প্রোফাইল চেক করলাম। দেখলাম আপনার চাহিদা কি? আপনার কোষ্ঠি বিচার শুরু করলাম। মিস্টার সুভাষ গড়গড়িয়া আষাঢ়িয়া কথায় অবাক হয়ে বললেন, কোষ্ঠি, ঠিকুঁজি এগুলো আমার কোন কালেই ছিল না। আপনি পেলেন কোথায় আর কিভাবে বিচার করলেন। অশোক আষাঢ়িয়া হাসলেন ,দেখুন আমি খাঁটি ব্রাহ্মণ। মিথ্যে কথা বলি না । ছোটবেলা থেকেই যা করি তা বলার চেষ্টা করি। আমার গল্প শুনে আমার পরিবার পাড়া প্রতিবেশী স্কুলের বন্ধু সবাই ভাবতো আমি গুল মারছি। আষাঢ়ে গল্প বলছি। তাই সবাই আমার নাম দিল আষাঢ়িয়া। সেই থেকে আমি আমার ব্রাহ্মণত্ব বর্জন করে আশাঢ়িয়া উপাধি গ্রহণ করেছি ।যে সমাজ এখন ব্রাহ্মণকে মর্যাদা দেয় না সেই সমাজে ব্রাহ্মণ হিসেবে আমি থাকতে চাই না। এই দেখুন আজ আমি আষাঢ়িয়া হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ।
কোন
কথা কোন দিকে গেল।
না ! বাবা এসেছেন তার
জন্য রোবট কিনতে এসে
পড়লেন কার পাল্লায় ।এতো
ঘোর পাগল। মিলি অসহ্য বোধ
করতে লাগল। মিস্টার সুভাষ গড়গড়িয়াও নাম রহস্যে
হারিয়ে গেলেন ।আসলে মানুষের অভ্যাসটাই এরকম সে সুযোগ
পেলেই তার সব ইচ্ছা
পূরণ করতে চায়। সমাজ
সে সুযোগ কেড়ে নেয়,সভ্যতা আর
অসভ্যতার বিচারে। সচিব কিংবা মন্ত্রীর
কি হঠাৎ করে শরীরের
পশ্চাৎ অংশে চুলকানোর ইচ্ছে
হয় না । সুন্দরী
মহিলার কি হঠাৎ শব্দ
করে বায়ু নির্গমনের ইচ্ছে হয় না। ডাক্তারের
কি ইচ্ছে হয় না পেটের
ব্যথায় বাচ্চা শিশুর মত হাউমাউ করে
কাঁদতে। হয় সবার সব
ইচ্ছে হয়। ভিখুর যখন
পৃথিবীর সকল সুন্দরীর পাণি
গ্রহণ করার ইচ্ছে হয়।
তখন আর বলার কি
থাকে । মিস্টার সুভাষ
গড়গড়িয়া ও অশোক আষাঢ়িয়া
র গল্পে সংক্রমিত হয়ে পড়লেন। বললেন
দাদা আমারও কিন্তু ওই একই অবস্থা।
আমার নাম সুভাষ বর্মণ।
আমি পেশায় একজন শিক্ষক ।
ক্লাসে ছাত্রদের পড়া বলতে বললে
সবাই মিন মিন করে
বলতো। বাসায় ছাত্র পড়াতে গেলেও অধিকাংশ ছাত্ররা ছাত্রীরা মিন মিন করে
কথা বলতো ।আমার কাছে
মনে হতো অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনার নামে ক্লাস টপকাচ্ছে।
হৃদয় দিয়ে এরা পড়াশোনা করছে
না। কিছু ছাত্র ভিতর
থেকে পড়া বলত গড়গড়
করে। ছাত্রদের কিছু বলতে গেলেই
আমি বলতাম গড়গড় করে বল। সেটা
অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল সবকিছুতেই
বলতাম গড়গড় করে বল। যেমন
বেতন দিতে যে ছাত্র
এসেছে আমি তাকে জিজ্ঞেস
করতেই বলছি গড়গড় করে
বল। গণিতের সূত্র বললেও বলছি গড় গড়িয়ে বল।
শেষ পর্যন্ত বাজারে গিয়েও বলতে শুরু করলাম
সবজির দাম কত গড়
গড়িয়ে বল । মাছের
দাম কত গড় গড়িয়ে
বলুন। ডাক্তার দেখিয়ে ডাক্তারকে বলছি আপনার ফিস
কত গড় গড়িয়ে বলুন
। আর কই যায়? স্কুলের
টিচার্স কমন রুমে আমার
শত্রুপক্ষের শিক্ষকরা আমার নামকরণ করল
গড়গড়িয়া। ছাত্র
ছাত্রীরা তিলে সংক্রান্তির লুটের
মত লুফে নিল গড়গড়িয়া।
সেই থেকে আমি সুভাষ
বর্মন হয়ে গেলাম সুভাষ
গড়গড়িয়া। তাই পদবীর প্রতি
আমার ঘেন্না ধরে গেছে ।
আমিও আপনার মত পদবী বর্জন
করেছি ।মেয়ের নামের পদবীও সুরমায় বিসর্জন দিয়েছি। মেয়ের
নাম এখন শুধুই মিলি
। অবশ্য একটা অসুবিধায় পড়েছি।
যে কোনো ফরম ফিলাপ
করতে হলেই তিনটি ঘর
পূর্ণ করতে হচ্ছে। ফার্স্ট
নেম,লাস্ট নেম ও মিডিল
নেম । আমিও চালিয়ে
নিচ্ছি তিন জায়গাতেই লিখছি
মিলি মিলি মিলি ।
তাই আমি যার জন্য রোবট
কিনতে এসেছি তার নাম মিলি
মিলি মিলি।
মিলি
আমার আদরের কন্যা। তার মায়ের মৃত্যুর
পর সে ই আমার
---। কথা শেষ করতেই
পারলেন না মিস্টার গড়গড়িয়া।
মিস্টার অশোক আষাঢ়িয়া
যেন ঘাড়ে ধরিয়ে থামিয়ে দিলেন গড়গড়িয়াকে। বললেন মিস্টার গড়গড়িয়া আপনি বলেছিলেন আপনার
কোষ্ঠি নাই আমরা পেলাম
কি করে? আমি
যখন 'এ আই' তৈরি
করতে আসলাম আমার পরিবার সমাজ
আমাকে বাধা দিল ।
বিশেষ করে বাধা দিল
আমাদের ব্রাহ্মণ সমাজের নেতারা। তারা আমাকে এক
ঘরে করার হুমকি দিল
। তাই আমি প্রথমে
ঠিক করলাম প্রথম বানাবো ব্রাহ্মণের এ
আই । আমাদের কোম্পানির
শুরু হয়েছিল ব্রাহ্মণের মস্তিষ্ক চুরি করে। করতেই
হলো। ওই ব্রাহ্মণ আমাদের
সমাজপতি ছিলেন। আমি তার তার
শিয়রে দাঁড়িয়ে তার মস্তিষ্ক ভিক্ষা
চেয়েছিলাম। বলেছিলাম দাদা মহাশয় আপনি
সমাজ রত্ন। আপনার মৃত্যুর পর আপনার বুদ্ধিমত্তা
কোন কাজে লাগবে না।
তাছাড়া আপনার পুত্ররা ব্রাহ্মণ তো দূরের কথা
মানুষ হয়নি। হয়েছে গয়াসুর। আপনি এ আই
তে মস্তিষ্ক দান করে সমাজের
উপকার করতে পারেন। আর
নিজেও অমর হতে পারেন।
তিনি আমাকে নাস্তিক বলে ছে ছে
করে দূর দূর করে
তাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রথম আমি
জিঞ্জিরায় গেলাম। একজন রোবট
মিস্ত্রিকে খুঁজে বের করলাম ।একজন
গুনিন খুঁজে আনলাম ধরাধরপুর থেকে
আর দেশের বিখ্যাত
একজন প্রোগ্রাম হ্যাকারের সাহায্য চাইলাম। তার বাড়ি খুলনার
ডোমাইন গ্রামে । ডোমাইনের কৃতি
সন্তান জনাব হ্যাকার করাবণ
। সে বলল আমি
ব্রাহ্মণের মস্তিষ্ক চুরি করতে পারি
তবে গুনিন তার মন্ত্র দ্বারা
ব্রাহ্মণের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে
দিবে। ব্রাহ্মণের মস্তিষ্কের পাসওয়ার্ড জেনে নিবে ,তবে
আমি ব্রাহ্মণের মস্তিষ্কে ঢুকে সব তথ্য
হ্যাক করে নিয়ে আসব। পাঁচ
দিন ধরে ব্রাহ্মণ সমাজপতি
মৃত্যুর প্রহর গুনছেন। পুরোহিত প্রায়শ্চিত্ত করালেন । কাজ হচ্ছে
না । গুনিন সাধুবেশে
হাজির হলেন ব্রাহ্মণ সমাজপতির
বাড়িতে। সাধু দেখে সবাই
তাকে সাদরে ব্রাহ্মণের শিয়রের কাছে নিয়ে গেল
। গুনিন দেখল, ব্রাহ্মণ মৃত্যুর মুখে তবুও তার ইন্দ্রিয়
সজাগ। গুনিন তাকে অবশ করার
জন্য তন্ত্র মন্ত্র করল। ধুপ ধুনা
জ্বালালো। কাজ হল। ব্রাহ্মণের
কানের কাছে গুনিন বারবার
জিজ্ঞেস করল পাসওয়ার্ড, ফরগেট,
ফরগেট পাসওয়ার্ড, ইনস্টল পাসওয়ার্ড, রিকভার পাসওয়ার্ড। সবাই অবাক হয়ে
জিজ্ঞেস করল , মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর মানুষের কানে
কানে আপনি কি বলছেন
? গুনিন সবজান্তার ভাব করে বললেন
মহামন্ত্র দিচ্ছি । উনি এখন
প্রস্থান করবেন সবাই প্রার্থনা করুন
। ব্রাহ্মণ সমাজপতি ছিল খুব কুটিল
মস্তিষ্কের । তাই মৃত্যু
কালেও পাসওয়ার্ড বলছিল না । অবশেষে
বলল। গুনিনের মুখ ব্রাহ্মণের কানের
কাছে থাকতে থাকতেই দম উড়ে গেল
ব্রাহ্মণ সমাজপতির। সবাই গুনিনকে ভগবান
ভাবে পুজো দিল ।
আমরা জিঞ্জিরায় এলাম। কিন্তু গুনিন মুখ খোলে না।
ব্রাহ্মণের মস্তিষ্কের পাসওয়ার্ড না বললে আমরা
শুধু প্রোফাইল পিকচারে কাজ সারতে পারছিলাম
না।
হ্যাকার করাবণ, রোবট মিস্ত্রি ও আমি তিনজনই গুনিন কে বারবার অনুরোধ করলাম । সে যেন আমাদের সাথে বেঈমানী না করে। সে কথা শুনলো না। সে বলল আমাকে এডভান্স বিশ লক্ষ টাকা দাও। তবেই আমি তোমাদের পাসওয়ার্ড বলব। আমরা তিনজনেই শলা-পরামর্শ করলাম। যে চুক্তি ভঙ্গ করে সে কখনোই দলে থাকার যোগ্য নয়। তাই তার শাস্তি প্রাপ্য । আর টাকা দিলেও সে যে সত্যি কথা বলবে তার নিশ্চয়তা কই ? রোবট মিস্ত্রি গুনিনের মাথায় বাড়ি দিয়ে দু ভাগ করে দিল। মেঝেতে পড়ার সময় গুনিন বলল, হরে কৃষ্ণ। আমি ব্রাহ্মণের প্রোফাইল পিকচার ক্লিক করলাম।পিকচারে হরে কৃষ্ণ পাসওয়ার্ড দিলাম কাজ হয়ে গেল। আমরা পেয়ে গেলাম ব্রাহ্মণ সমাজপতির মস্তিষ্ক। সেই থেকেই আমরা শিখে গেলাম কিভাবে এ আই এর মস্তিষ্ক সংগ্রহ করা যায়। এখন আমাদের আর মস্তিষ্কের অভাব নেই। প্রয়োজন হলেই হাতুড়ি থিওরী প্রয়োগ করি। যে যেরকম মস্তিষ্ক চায় ,তার সাপ্লাই আমরা দিতে পারি।
গল্পে গল্পে অনেক সময় হয়ে গেল । আসুন আপনাদের অর্ডারের ডিটেলস বলি ।হাইনি কে বুঝিয়ে দেই। তার আগে বলুন কি নিবেন ? ঠান্ডা কলিজা, গরম মস্তিষ্ক না হলে এক গ্লাস হিমোগ্লোবিন । না, ধন্যবাদ। মিস্টার আষাঢ়িয়া । আমি আর আমার মেয়ে সকালবেলা এক মেধাবী ছাত্রের ব্রেন ভাজি খেয়ে এসেছি। এই এক সপ্তাহ আমরা উপবাস করব ।
তাহলে আমরা কাজের কথায়
আসি। আমরা আপনার প্রোফাইলে
দেখেছি আপনি খুব চালাক
মানুষ । আপনার অবর্তমানে
আপনার মেয়ে যাতে নিরাপদ থাকে
তাই আপনি এআই কিনতে
এসেছেন । আমরা এও
জানি আপনার স্ত্রী হার্ট এটাকে মরেননি এআই আবিষ্কারের পর
আপনিও আমাদের মত মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উপভোগ করা শুরু করেছেন।
প্রথম পরীক্ষা চালাতে গিয়ে আপনি আপনার স্ত্রীর
হৃদয় চপ বানিয়ে খেয়েছেন
। এরপর থেকে আপনার
কাছে যত ছাত্র পড়ছে
তাদের যাদের ব্রেন ভালো ইতিমধ্যে প্রায় শ
খানেক ছাত্র বাপ
বেটি মিলে দুজন ভক্ষণ
করেছেন। আপনার এলাকা তাই মেধাশূন্য হতে
চলেছে । কিন্তু মৃত্যু
নিয়ে আপনি শঙ্কিত। তাই
আপনার মৃত্যুর পর আপনার মেয়ের
নিরাপত্তার জন্য শক্তিশালী
এ আই কিনতে চান
। আমরা হাইনিকে এভাবেই
প্রস্তুত করেছি।
হাইনির
মস্তিষ্ক, এটা এই উপমহাদেশীয়
হায়েনার। তার নাম ইয়াহিয়া ।
মারা গেছে বেশ কয়েক
বছর আগে। সে ১৯৭১
সালে ৪০ লক্ষ বাঙালির
রক্ত খেয়েছে । তার মস্তিষ্ক
এত উর্বর যে পৃথিবীর যে
কোন হায়েনা তার কাছে পাত্তা
পায়নি । তার নামের
শেষে আছে হিয়া ।
আমরা মধুর করে নাম রেখেছি হাইনি। স্ত্রী
হায়েনা, হাইনি। কেমন হলো ? হাইনির
কন্ঠ বাংলাদেশী সুন্দরী নায়িকার । এর কারণ
হলো বর্তমানের ট্রেণ্ড এর কন্ঠ হিসেবে
এটা জনপ্রিয় আর ভবিষ্যতে আরও
জনপ্রিয় হবে কারণ এরা
মধুর স্বরে ভাই ডাকলে পুলিশ
প্রধান কাত হয়ে যান।
ডিভোর্স চাইলে শিল্পপতি ডুবে যায়। এদের
কন্ঠই মূলত অস্ত্র।
ভেজা
বেড়ালের আইডিয়াটা আমার ছোটবেলার স্মৃতি
থেকে ধার করা ।আমার
ঠাকুমার ছিল প্রতিদিন সকালবেলা
দুধের কড়াইটি পরিষ্কার করার কাজ। দুধ
জাল দেওয়া ফলে দুধের সর
পড়ে কড়াইয়ের বিভিন্ন অংশে লেপটে যেত।
এগুলো পুড়ে গেলে আরো শক্ত
হতো। ঠাকুমা এগুলো কাপনা দিয়ে ঘষে ঘষে তুলতেন।
শব্দ শুনে দৌড়ে যেতাম
আমি । গিয়ে দেখতাম
আমার আগেই চলে এসেছে
আমাদের ভিজে বেড়াল। তার
শ্রবনেন্দ্রিয়ের ধার দেখে আমি
প্রথমেই মনস্থির করে রেখেছিলাম
যদি
কখনো এ আই বানাই
তবে কান দেব বেড়ালের।
তাই হাইনির মাথায় দিলাম বেড়ালের কান। কেমন হলো
সুভাষ বাবু? নাক দিয়েছি হাকানি
সাপের। আপনি জানেন সাপের
নাক নেই। তবু তার
জিহ্বাই যেভাবে গন্ধ শুকতে পারে
আর কেউ কি তা
পারবে? আর
আসল জিনিসটি অর্থাৎ হৃদয় টি দিয়েছি শেয়ালের।
কেন জানেন ? আমার কাছে মনে
হয় যত গল্প পড়েছি
শুনেছি তাতে জেনেছি শিয়ালের
হৃদয় বিপদে কখনো সংকুচিত হয়
না। বিপদ থেকে উদ্ধারের
একটা পথ সে বের
করে নেয়। আমাদের হাইনি হবে এরকমই। কখনো
বিপদে তার হৃদয় কম্পিত
হবে না । সে
আপনার মেয়েকে নিরাপদে রাখবে।
সুভাষ গড়গড়িয়া, মিস্টার অশোক আষাঢ়িয়া কে ধন্যবাদ দিলেন বললেন আপনার হাইনি আমার পছন্দ হয়েছে। আপনাদের পেমেন্ট ও অলরেডি ডেলিভারি হয়েছে। মিলি মাথা নাড়ল তার হাইনি পছন্দ হয়েছে। হাইনি সবার সামনে ছিল। সেও বলল আমার খুব ভালো লাগছে আমি মিলির সাথে যাব । সবাই খুশি । হাইনি কে ও টেস্টের জন্য একটা কাজ দেয়া হলো। সে মিলিকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন স্পটে ঘুরবে, আর সন্ধ্যের পূর্বে ফিরে আসবে।
মিস্টার সুভাষ গড়গড়িয়ার
যদি আপত্তি না থাকে , তিনি
যদি সম্মত হন তবে তিনি
অশোক এন্ড অশোকা কোম্পানির
লোকজনের উদ্দেশ্যে কিছু হিত বাক্য
দান করতে পারেন ।
কোম্পানি এ ব্যাপারে প্রস্তুতি
রেখেছে । মিস্টার গড়গড়িয়া
আনন্দে রাজি হলেন। জ্ঞানী
ব্যক্তি জ্ঞান দান করার সুযোগ
পেলেই খুশি হয় ।
তাকে নেয়া হলো বিশাল ল্যাবে।
শ্রোতা মাত্র তিনজন মিস্টার
অশোক আষাঢ়িয়া, সেই রোবট মিস্ত্রি
আর প্রোগ্রাম হ্যাকার করাবণ । গড়গড়িয়া টের
পেয়ে গেলেন তিনি অমর হতে
চলেছেন। তার প্রোফাইল পিকচার
রেডি । শুধু দরকার
গুনিনের নাটক । মঞ্চস্থ
হতে চলেছে । গুনিন বাতাসে
ভাসছেন । তাকে ডাকছেন,
চলে আসুন মিস্টার গড়গড়িয়া
,এ আই জগতে আপনাকে
স্বাগতম।
আরও পড়ুন : কুতুব
লেখক : পার্থ প্রতিম নাথ